IQNA

এক চোখ হারিয়েছে সালমান রুশদি 

0:12 - October 24, 2022
সংবাদ: 3472700
তেহরান (ইকনা): ইসলামবিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদির একটি চোখ ও এক হাত অকার্যকর হয়ে গেছে। দুই মাস আগে নিউ ইয়র্কে ছুরি হামলার পর এ সমস্যা দেখা গেছে। রুশদির এজেন্টের বরাত দিয়ে রোববার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৮০ এর দশকে স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখায় রুশদিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ইরান তার মাথার বিনিময়ে বড় অংকের অর্থমূল্যের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। ১২ আগস্ট নিউ ইয়র্কের চাউতাউকুয়া ইনস্টিটিউটে বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার সময় এক হামলাকারী রুশদির ওপর ছুরি হামলা চালায়। এতে ঘাড় ও ধড়ে আঘাত পান তিনি।
 
রুশদির আহত হওয়ার মাত্রা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি। তবে তার এজেন্ট অ্যান্ড্রিউ ওইলি স্পেনের এল পেইস পত্রিকাকে রুশদির আঘাতের মাত্রা সম্পর্কে কথা বলেছেন।
 
ওইলি বলেন, ‘(তার ক্ষতগুলো) গভীর ছিল, কিন্তু তিনি একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তার ঘাড়ে তিনটি গুরুতর ক্ষত ছিল। তার বাহুর স্নায়ু কেটে যাওয়ায় এক হাত অক্ষম এবং তার বুকে ও ধড়ে আরো প্রায় ১৫টি ক্ষত রয়েছে। সুতরাং, এটি একটি নৃশংস হামলা ছিল।’
 
১৯৮৮ সালে রুশদি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও পবিত্র কুরআনের অবমাননার উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ (শয়তানের পদাবলী) লেখে। ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর আর্থিক সহায়তাপুষ্ট বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ভারত ও পাকিস্তানের মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশি হামলায় কয়েকজন মুসলমান শাহাদত বরণ করেন। পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে নিন্দা ও বিক্ষোভ। এর পর থেকে সালমান রুশদি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গোপনে জীবন যাপন করছিল।
 
বলা হয় যে, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর এবং এর ধর্মবিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে মুসলিমদের আপত্তি তোলার পর প্রথম মাসে সালমান রুশদি পনের বারের বেশি তার বাসস্থান পরিবর্তন করে।
 
ব্রিটিশ সরকার স্যাটানিক ভার্সেস বইটি প্রকাশের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল, অনেক অর্থ ব্যয় করে তার জীবন রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিল। 4093949
captcha